আমরা কম
পড়ালেখা করিঃ
 আমরা আমাদের শিক্ষাজীবনে কম পড়ালেখা করি যার কারণে বেঁকার জীবনে হটাত
এত পড়ালেখা করতে সমস্যা হয়। আমরা যদি আমাদের পাসের দেশ ভারতকে দেখি তাঁদের ছাত্ররা
অনেক আগে থেকেই ভালো মত পড়াশুনা করে। আমাদের পড়ালেখার এই অবস্থা যে একই
Tense ক্লাস ৫
থেকে
Admission Test পর্যন্ত পড়তে হয়ে এবং প্রায় একই রুলস বার বার পড়তে হয়।
কোয়ালিটি
শিক্ষার অভাবঃ
 আমাদের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন আছে, আছে প্রশ্ন ফাঁস কেলেঙ্কারি
ইত্যাদি। আমাদের কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে অনেক এমডি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আনা হয়
ইন্ডিয়া
, শ্রীলংকা থেকে।  আমাদের সিলেবাস এমন ভাবে তৈরি করা
উচিৎ যাতে আমরা বাহিরের ক্যান্ডিডেটদের সাথে ফাইট করতে পারি।

আমাদের
পরিকল্পনার অভাবঃ
 কখন থেকে কি পড়তে হবে সেটা আমরা আগে থেকে চিন্তা করি না।  আর এই চিন্তা
ভাবনা রাখা দরকার কলেজে থাকা অবস্থায়
 যেমন –

আমি University উঠে কোন
সাবজেক্টে পড়বো
?

ডাক্তার
নাকি ইঞ্জিনিয়ার হবো
?

আইনজীবী
নাকি এনজিও কর্মকর্তা
?

বাহিরে
গিয়ে পড়ালেখা করা অথবা/ এবং সেখানে থেকে যাওয়া
?

নাকি মেইন
টার্গেট বিসিএস/ ব্যাংক
?

শিক্ষক/
গবেষক
?

নাকি শুধু
কর্পোরেট জব
?

বিসিএস/ব্যাংক
চাকরির জন্য অনার্স ৩য়/ ৪র্থ বর্ষ থেকে পড়া শুরু করা উচিৎ। তবে নিজের সাবজেক্টের
পড়ালেখা করা কমানো যাবে না।

আমরা বড়
হয়ে কি করব যেটা আগে না ভাবলে আমাদের এইম ইন লাইফের রচনা পড়া শুধু পড়ার মধ্যে রয়ে
যাবে।

চাকরি
পরিক্ষাগুলোতে সমন্বয়ের অভাবঃ
 পিএসসি এখন যেমন নন-ক্যাডারে
অন্যান্য সরকারি চাকরি অফার করে
 তেমনি বাংলাদেশ
ব্যাংকের মাধ্যমে  একসাথে সরকারি বেসরকারি
 ব্যাংকের
পরিক্ষা নিয়ে মেরিট লিস্ট + ওয়েটিং লিস্ট করে চাকরি দেয়া যেতে পারে। এতে বেঁকার
ভাইদের বার বার ঢাকা  শহরে আসা লাগবে না (টাকা ও সময় বাঁচবে)। শিক্ষক নিয়োগের
ক্ষেত্রেও এমন নিয়ম করা যেতে পারে।

একই
ব্যক্তি কয়েকটা চাকরি পাচ্ছেঃ
 একজন মেধাবী স্টুডেন্ট একটা ভালো
চাকরি পাওয়ার পরও আরো পরিক্ষা দিয়ে আর ভালো জব নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এটা একটা
বেঁকার ছেলের জন্য মঙ্গল হয় না। নিয়ম করা যেতে পারে যে
, কেউ একবার
কোন এক ক্যাডার চাকরিতে জয়েন করলে সে আর বিসিএস পরিক্ষা দিতে পারবে না। অথবা কেউ
সরকারি প্রথম ক্লাস চাকরিতে জয়েন করলে পরে সে আর সরকারি প্রথম ক্লাস চাকরিতে আবেদন
করতে পারবে না ।

দুর্নীতিঃ কিছু
চাকরিতে লবিং এবং টাকার খেলা অনেক বেশি কমন
 দুদককে আরো বেশি অপারেশন চালাতে হবে।

শূন্য পদ
পুরন করায় অনীহাঃ
  বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদে অনেক আসন খালি আছে কিন্তু সেটা
পুরন করা হচ্ছে না।

ব্যবসা
বান্ধব পরিবেশের অভাবঃ
 চাকরি সর্বদা সীমিত কিন্তু বেঁকারত্ব জনসংখ্যার মত জ্যামেতিক হারে
বাড়তেছে। একটা ব্যবসা চালু হলে একজন বেঁকারের (উদ্যোগতা) সাথে কিছু বেকারত্বের ইতি
হয়। ইউরোপ
, অ্যামেরিকাতে ভালো ভালো ছাত্ররা ব্যাবসাতে মনোযোগ দেয় আর আমাদের
দেশের মেধাবীরা শুধু চাকরির পিছনে দৌড়ান। এটার জন্য আমি আমাদের মেধাবীদের দোষ দিই
না  কারন আমাদের দেশে ব্যবসা শুরু করা অনেক রিস্কি। আমার মতে এটা একটা বড়
কারণ চাকরি স্বল্পটার জন্য এবং চাকরি না পাওয়াটা।

মূলত আমরা
আমাদের সিস্টেম
, দুর্নীতি এবং দুর্বলতার কাছে হেরে যাচ্ছি।

আপনার
মতামত কি
? কমেন্টে জানিয়ে দিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *